বাংলাদেশের নেতা নেতৃদের যে পরিমান রক্ত পিপাসা, তা এসময়ে কোন সভ্য দেশে কল্পণার অতীত। দোষারোপ আর দায় চাপানো খুব সহজ। বাংলাদেশের মানুষও এ দেখতে দেখতে অভস্ত্য হয়ে গেছে। এখন সবাই জানে যদি কোন দূর্ঘটণা ঘটে তাহলে এর পরেই কি বিবৃতি আসবে সব মুখস্ত। যেমন মির্জা ফখরুল বললেন হরতালে ঘটা সমস্ত পিশাচিও কর্মকান্ডের জন্য সরকার দায়ী। আবার সরকারের তরফ থেকে দায় চাপানো হচ্ছে বিরোধীদলের উপর।
এই হরতাল হরতাল খেলা আর সাধরন মানুষকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া নতুন কিছুই তো নয়। যে দলই হরতাল দিক তারা ঠিক আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর কাজটা বেশ সুন্দর ভাবে করে। আর আগুনে যারা পুড়ে মারা যায় তাদের পরিবারের কি হয়? এই সব হত্যাকান্ডের কি কোন বিচার হয়? আসলে হরতাল মানে কিছু মানুষকে পোড়াতেই হবে। আর প্রতিটি হরতালেই শিশুদের পুড়িয়ে মারার আনন্দ রাজনীতিবিদরা মিস করতে চাননা।
কোন কোন সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবিরা কলাম লেখেন। হা হুতাশ করেন। ফেসবুকে লোকজন ছিছি করে। তারপর আবার আমরা মেতে উঠি এই নেতা ভাল ঐ নেতা খারাপ ইত্যদি ইত্যাদি। মাহফুজ আনাম সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটা লেখা লিখে ফেলেছেন উধাহরণ দিয়েছেন ভারতের। এরকম আরো কত শত লেখা। কত শত মত। মুরাদ-মনির-সুমি’র কি এসে যায় এতে?
কেউ কেউ হয়ত চোখের পানি ফেলে বলছেন বা লিখছেন -“আমি যেন মুরাদ হয়ে গেছি-মনির এর মত চামড়া ঝলসে যাওয়ার কষ্ট অনুভব করছি।” আসলেই কি সেসব কষ্ট অনুভব করা সম্ভব? দু ফোঁটা চোখের পানি ফেলে কি কর্তব্য সারা হয়ে গেল?
কোন নেতা নেতৃর সন্তানেরা কি ককটেল নামক বল নিয়ে খেলা করেন? কোন নেতার সন্তানকে কি গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে? হয়নি কোনদিন হবেও না।
আর কত মানুষ আগুনে ঝলসালে, মারা গেলে, হত্যা করে রাজনীতিবিদরা ক্ষ্যন্ত হবেন? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে কখনই হবে না। তাদের রক্ত লিপ্সা দিন দিন বাড়তেই থাকবে। ক্ষমতার জন্য হরতাল দেবেনই আর আগুন দিয়ে মানুষ মারবেনই। আর আমরা কি করব? আমরা আঙ্গুল চুষব। কারণ বাঙ্গালী এখন নপুংশক-কাপুরুষ-লোভী-সুবিধাবাদী।
আর কত সহ্য করলে মানুষের সহ্য সীমা পার হবে? কবে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসে রাজনীতিবিদেরও আগুনে ঝলসে দেবেন? এমন যদি হয় সত্যি সত্যি মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এল। রাজনীতিবিদদের ধরে এনে গন আদালতের সামনে দাড় করানো হল। গণ আদালতের রায়ে বলা হল- “হাসিনার সামনে হাসিনা পুত্রকে, খালেদার সামনে খালেদা পুত্রকে আগুনে ঝলসে দেয়া হোক। সবার শেষে সমস্ত রাজনীতিবিদদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হোক”। তাহলে কেমন হয়?
হ্যা শুয়রের খোয়াড় থেকে ধরে এনে জ্বালিয়ে দেয়া হোক সমস্ত শুয়রদের।